ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

কুতুবদিয়া চ্যানেলে জেগে উঠেছে ‘মায়াদ্বীপ’

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::  প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর পর্যটন নগরী কক্সবাজার। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের হাতছানি দেয় এই নগরীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। সেন্টমার্টিন ও কুতুবদিয়া হলো সাগরবেষ্টিত দুটি দ্বীপ। এবার দ্বীপের ভেতর আরও একটি দ্বীপ জেগে উঠেছে। এ যেন প্রকৃতির খেলা। কুতুবদিয়া চ্যানেলের পশ্চিম প্রান্তে বঙ্গোপসাগরের বুকে দ্বীপটির অবস্থান। এর নাম ‘মায়াদ্বীপ’।
কুতুবদিয়া থেকে পশ্চিমে এ দ্বীপের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। এটি জোয়ারের সময় ডুবে, ভাটার সময় জেগে উঠে। পড়ন্ত বিকেল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এ সময়টাতে এর সৌন্দর্য অবলোকনের সময়। শেষ বিকেলে সূর্যের আলো বুকে নিয়ে দ্বীপটি যখন জেগে ওঠে তখন স্বর্গীয় এক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে দ্বীপজুড়ে।
স্থানীয়দের মতে, এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও ২০১৮ সালে তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান ফেনী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজন চৌধুরীর নেতৃত্বে কুতুবদিয়া কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক দুলাল কান্তি বড়ুয়ার আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা এ দ্বীপটি পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ এ চরের নাম ‘মায়াদ্বীপ’ প্রস্তাব করেন। তবে আরও কিছু নাম প্রস্তাবে আসলেও বৈঠক শেষে সবার মতামতের ভিত্তিতে এ চরের নামকরণ করা হয় মায়াদ্বীপ। সেই থেকে এ নামটি পরিচিতি পায়। বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকত হতে নৌকায় পড়ন্ত বিকেলে স্থানীয় যুবকরা ফুটবল খেলতে যায় সেখানে।
কুতুবদিয়া খেলোয়াড় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রশিদ বাদশা বলেন, শীত মৌসুমে বিকেলের দিকে তারা দল বেঁধে নৌকায় চড়ে মায়া দ্বীপে ফুটবল খেলতে যায়। উপযুক্ত মাঠ ও পরিবেশের কারণে ফুটবল খেলোয়াড়দের জন্য আরেকটি নতুন উপহার এই মায়াদ্বীপ।
জেলে ফরিদ আলম, গিয়াস উদ্দিন, মানিকসহ অনেকেই বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আসার পথে নৌকাটি দক্ষিণ পাশ দিয়ে চালাতে হয়। তাদের একটু কষ্ট হলেও এ দ্বীপটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কুতুবদিয়াকে রক্ষা করে।
সাবেক ইউএনও সুজন চৌধুরীর সফরসঙ্গী কক্সবাজার জেলা আঞ্চলিক পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা সুপানন্দ বড়ূয়া বলেছেন, মায়াদ্বীপের কারণে কুতুবদিয়া দ্বীপটি সাগরের ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে। মায়াদ্বীপকে নিয়ে সরকারিভাবে উন্নয়নের পরিকল্পনা করলে বড় ধরনের সুফল পাবে বলে মনে করেন তিনি। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ঢলও নামবে সেখানে।

পাঠকের মতামত: